মো. সহিদুল ইসলাম :
Exif_JPEG_420
মধুখালী বালি ব্যবসায়ীদের দখলে রয়েছে উপজেলার অধিকাংশ সড়ক—মহাসড়ক। বাতাসে এসব সড়ক—মহাসড়কের উড়ন্ত বালি রাস্তা—ঘাট এবং আবাসিক ছড়িয়ে পড়ছে। এতে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে রয়েছেন শিশু, বৃদ্ধসহ সাধারণ মানুষ। যার কারণে অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছেন বিশেষ করে আড়পাড়া , কামারখালী ও ডুমাইনবাসী।
সরেজমিনে দেখা যায়, মধুখালী উপজেলার আড়পাড়া , কামারখালী এবং ডুমাইন ইউনিয়নের সড়ক ঘেঁষে বালুর সারি সারি ‘পাহাড়’ গড়ে উঠেছে। প্রভাবশালী মহলের ছত্রছায়ায় দিবা—রাত্রি সেখানে চলছে কেনাবেচা। ব্যস্ততম এ সড়কে বালিবোঝাই ট্রাক সকাল—সন্ধ্যায় রাস্তা দখল করে দাঁড়িয়ে থাকে। এতে করে যানবাহন চলাচলে যেমন বিঘ্ন সৃষ্টি হচ্ছে, তেমনি উড়ন্ত বালি (রাস্তা পাশে রাখা বালি) আবাসিক ভবনগুলোতে ছড়িয়ে পড়ছে। পাশাপাশি ঢাকা—খুলনা মহাসড়ক সহ গ্রামে গঞ্জে চলছে তাবু ছাড়া বালির ট্র্যাক । বালির কণা মানুষের চোখে মুখে ঢুকে পড়ছে। এ করাণে চরম স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে থাকছে শিশু ও বৃদ্ধরা । এলাকার ভুক্তভোগীরা অভিযোগ করে বলেন, উপজেলা সহ আড়পাড়া , কামারখালী এবং ডুমাইন ইউনিয়ন সড়কের দুই পাশে রয়েছে সরকারী , বেসরকারি হাসপাতাল, ক্লিনিক, ফায়ার সার্ভিস (দমকল বাহিনী),। আরও রয়েছে মধুখালী হাসপাতাল, গুরুতা্পূর্ন মধুখালী থানা , গুরুত্বপুর্ণ স্কুল, কলেজ ,মাদরাসা এবং শিশুদের নানা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। ইদানিং সড়কটি দিয়ে চলাচল করতে যে কোনো মানুষ আঁতকে ওঠেন। কারণ নিত্য দিন দুর্ঘটনার শিক্ষার হচ্ছেন তারা। ইতোমধ্যে প্রাণ গেছে অনেকের। পঙ্গু হয়েছেন অসংখ্য মানুষ। বালিতে চোখের কর্ণিয়া ক্ষত বিক্ষত হয়েছে অনেক নারী পুরুষ শিশুর। রাত একটু গভীর হলে ঢাকা—খুলনা মহা সড়কের কামারখালী বাসষ্টান্ড এলাকায় সারিবদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকে ঢাকা—খুলনা বেনাপল গামী লোড ট্রাক। রাস্তার ধারে গড়ে ওঠা খুপড়ি খাবারের দোকানগুলোতে চলে খাওয়া দাওয়া। বে—আইনিভাবে ট্রাকগুলো পার্ক করে চালক হেলপারসহ অন্য খেতে বসেন। ওই সময় জিরুরি সেবার যানবাহনগুলো সহজে চলাচল করতে পারে না । আবার সকালে লোকাল বাসের রাস্তার উপর রাখার কারনে সাধারন জনগন সহ স্কুল , কলেজের ছাত্র—ছাত্রীদের ভ্যানে যাইতে চরম সমস্য। ঙে কোন সময় অবহেলা ও যানজট এর কারনে প্রানী ঘটে প্রায়ই। তাই বিষয়টি নজরে আনার জন্য এবং প্রশাসনিক কায়দা কার্য পরি চালনা করার জন্য সচেতন নাগরিকরা তাবী জানান। ।