1. almoazzintv@gmail.com : Moniruzzaman Monnu : Moniruzzaman Monnu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০২:৫৭ পূর্বাহ্ন

মধুখালীতে প্রভাবশালীদের দখলে চন্দনা খাল

Reporter Name
  • Update Time : বুধবার, ২ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৩৪ Time View
Exif_JPEG_420

মো সহিদুল ইসলাম :
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার কামারখালী ও আড়পাড়া ইউনিয়নের মধ্যদিয়ে প্রভাবিত পানি নিস্কাশনেরএকমাত্র চন্দনা খালটি অবৈধভাবে দখল হয়ে গেছে। দিন দিন জমির মুল্য বেড়ে যাওয়ায় দখলদাররা খাল দখলে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। খালের উভয়পাশে ঘরবাড়ি, দোকানপাটসহ বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন প্রভাশালী দখলদাররা।
জানাগেছে, উপজেলার কামারখালী ইউনিয়নের গড়াই ও মধুমতি নদী থেকে উঠে আসা চন্দনা খালটি কামারখালী বাজারের পুরাতন ফেরীঘাটের পূর্ব ও পশ্চিম এর সাথে চন্দনা খাল দিয়ে আড়পাড়া মাঠে ও হড়িনা খালে পানি নিস্কাশনের এটিই একমাত্র প্রধান খাল। এক সময়ের খরস্রোত এই খালটি দখলদারদের কবলে পড়ে আজ মরা খালে আবার কোথাও নালায় পরিনত হয়েছে।
জানা যায় এই খালে নৌকায় করে বাজারে আসা-যাওয়া, বাজারের মালামাল বহন সহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজে ব্যবসায়ী ও কৃষকরা এ খালটি ব্যবহার করতো। কিন্তু দখলের কারণে এখন মরা খালে পরিনত হয়েছে। ফলে নদীর জোয়ারে খালে পানি ঢোকার ব্যবস্থা নাই । সব দিকে কামারখালী ও আড়পাড়া চন্দনা খাল ভরাট করে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছেন। এ কারনে গ্রামের কোথাও আগুন লাগলেও পানির সংকট দেখা দেয়। আগুন নিয়ন্ত্রনে আনতে পানির উৎস পাওয়া যায় না। এছাড়া খালটি ও তার ছোট ছোট শাখা নালাগুলো ভরাট হওয়ায় সামন্য বৃষ্টি হলেই এ খালের আশপাশে জলাবদ্ধতা সৃষ্টি হয়। সেই খাল ও নালা নানা কৌশলে দখলে নিলেও প্রভাবশালীরাদের ভয়ে সকলে চুপ থাকলেও সচেতন মহলের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। খাল দখলে প্রভাবশালীরা জড়িয়ে পড়ায় প্রশাসনও রহস্যজনক ভুমিকায়। ফলে আরও উৎসাহী হচ্ছে দখলদাররা। এ সুযোগে খাল দখলদার মহলটি দিন দিন খাল দখল করে অবৈধভাবে পাকা স্থাপনা নির্মাণ করছে। প্রভাবশালীরা পাকা স্থাপনা নির্মাণ করে লক্ষ লক্ষ টাকা হাতিয়ে নিচ্ছে।
এ প্রসঙ্গে ফরিদপুর জেলার জেলা প্রশাসক মো: কামরুল আহসান তালুকদার পিএএ সম্প্রতি মধুখালী উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান উদ্বোধন কালে বলেন চন্দনা খাল সহ রাস্তাঘাট দখল করে আছে তারা যতই প্রভাবশালী অথবা যে কেউ হোক যারা অবৈধ জমি-জমা ঘরবাড়ী, রাস্তাঘাট দখল করে আছে তাদেরকে স্বেচ্ছায় ছেড়ে দিতে হবে নতুবা আইনের কাঠগড়ায় আসতে হবে। তিনি আরও বলেন কৃষকের পাট জাগের আধুনিক প্রযুক্তির পরিকল্পনার ব্যবস্থা করা হবে । যাতে পাটের জন্য হাহাকার করা না লাগে এবং মরা খাল খনন করা হবে। কারন মধুমতি ও গড়াই নদীতে পানি থাকলেও নদীর পানি মাঠে ও খালে এবং বিলে যাওয়ার ব্যবস্থা নাই।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category