বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের আলফাডাঙ্গায় মোবাইলে গেমস খেলাকে কেন্দ্র করে একপক্ষের হামলায় বসতবাড়ি ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। রবিবার (১০ অক্টোবর)
উপজেলার আলফাডাঙ্গা ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় রবিবার দিবাগত রাতে ক্ষতিগ্রস্ত খলিল সর্দারের স্ত্রী রাশিদা বেগম ৩১ জনের নামে থানায় মামলা করেছেন।
সোমবার (১১ অক্টোবর) পুলিশ এ ঘটনায় চারজনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠিয়েছেন। আটককৃতরা হলেন বাড়ইপাড়া গ্রামের নাসির মিয়া, মিজানুর সর্দার, এনায়েত মিয়া ও মিনা বেগম।
থানা ও এলাকা সূত্রে জানা যায়, আলফাডাঙ্গা উপজেলার সদর ইউনিয়নের বারইপাড়া গ্রামে চলতি মাসের ৪ অক্টোবর খলিল সরদারের ছেলে ৭ম শ্রেণীর ছাত্র রিফাত সরদার ও একই গ্রামের হুমায়ুন সরদারের ছেলে ১০ম শ্রেণীর ছাত্র আবিদ সরদারের মধ্যে মোবাইলে গেমস খেলাকে কেন্দ্র করে কথা কাটাকাটি হয়ে সংঘাতের সৃষ্টি হয়। এ ঘটনায় দু’পক্ষের অভিভাবক ওই দিনই থানায় লিখিত অভিযোগ করেন। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে দু’পক্ষের লোকজনকে সংঘাত না করার জন্য অনুরোধ করেন। কিন্তু এই ঘটনার জের ধরে রবিবার সকালে পূর্বপরিকল্পিত ভাবে হুমায়ুন সরদারের লোকজন দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে প্রবাসী খলিল সরদারের বাড়ির প্রাচীর ভেঙে বাড়ির ভিতরে প্রবেশ করে তিনটি টিনশেড ঘরে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। এরপর হামলাকারীরা লোহার হাতুড়ি দিয়ে একতলা বিল্ডিংয়ের দেওয়াল ভেঙে ঘরে প্রবেশ করে ভাঙচুর ও মূল্যবান জিনিসপত্র লুট করে নিয়ে যায়। এসময় হামলাকারীরা সোহাগ সর্দার নামে এক ব্যবসায়ীর বাড়িতেও ভাঙচুর চালায়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। তবে এ ঘটনায় কোন হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।
এ ব্যাপারে প্রবাসী খলিল সর্দারের স্ত্রী রাশিদা বেগম জানান, ‘আমার স্বামী ও বড় ছেলে বিদেশে থাকে। বাড়িতে আমি ও আমার ছোট ছেলে থাকি। পূর্ব শত্রুতার জের ধরে প্রতিপক্ষরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালিয়ে বাড়িঘর ভাঙচুর ও লুটপাট করেছে।’ তবে অভিযোগ অস্বীকার করে প্রতিপক্ষ হুমায়ুন সরদার বলেন, ‘কিছু দিন আগে আমার ওপর তারা হামলা করেছিল। তবে ভাঙচুর ও লুটপাটের তেমন কোন ঘটনা ঘটেনি বলে তিনি দাবি করেন।
সোমবার বিকেলে আলফাডাঙ্গা থানার ওসি মো. ওয়াহিদুজ্জামান এ ঘটনায় মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘ভাঙচুরের খবর শুনার সাথে সাথেই পুলিশ পাঠিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। চারজন এজাহারভুক্ত আসামীকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।