বোয়ালমারী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলায় মোসা. নিলুফার ইয়াসমিন (৪৫) নামে এক গৃহবধূ খুনের ঘটনায় থানায় মামলা হয়েছে। গত ৭ অক্টোবর বোয়ালমারী পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের আঁধারকোঠা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় নিহত গৃহবধূর ছেলে বাদি হয়ে শনিবার (৯ অক্টোবর) দিবাগত রাতে এ হত্যা মামলাটি দায়ের করেন। হত্যাকান্ডে জড়িত সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিয়েছে পুলিশ।
থানা সূত্রে জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (৭ অক্টোবর) রাতে ওই গৃহবধুর বাড়ির সেপটিক ট্যাংক থেকে পুলিশ নিলুফার ইয়াসমিনের লাশ উদ্ধার করে। তিনি ওই বাড়িতে অধিকাংশ সময় একাই থাকতেন। নিলুফার ওই মহল্লার প্রয়াত সেনা সদস্য মো. আবুল খায়ের মন্ডলের স্ত্রী। এ ঘটনায় গৃহবধূর ছেলে মো. ইমরান হোসেন (২১) বাদি হয়ে মামলাটি করেন।
এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, নিলুফারকে মাথায় ও কপালে ধারালো অস্ত্র দিয়ে এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে। বাদির স্বাক্ষর করা এজাহারের বর্ণনাতে সন্দেহভাজন হত্যাকারী হিসেবে মো. রবিউল শেখ, মো. জাহিদুল ইসলাম, নাহিদ আলমসহ ৬ ব্যক্তির নাম উল্লেখ থাকলেও সেখানে কারো বাবার নাম বা ঠিকানা উল্লেখ নেই। উল্লেখিত ব্যক্তিরা ওই বাড়িতে আসা যাওয়া করতেন এবং তাঁরাই গৃহবধূকে হত্যা করে লাশ সেপটির ট্যাংকে লুকিয়ে রেখেছেন বলে বাদির সন্দেহ। কিন্তু মামলার প্রাথমিক তথ্য বিবরণীতে (এফআইআর) আসামির কলামে কারো নাম উল্লেখ নেই। সেখানে আসামির নাম ‘অজ্ঞাতনামা কে বা কাহারা’ উল্লেখ রয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মো. সালাউদ্দিন জানান, পুলিশ সুপার মো. আলিমুজ্জামান গত শনিবার সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। পুলিশ হেফাজতে থাকা সন্দেহভাজন দুই ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে। অপর এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, মামলার সর্বশেষ অগ্রগতি বলতে এটুকুই।
সহকারী পুলিশ সুপার (মধুখালী সার্কেল) সুমন কর বলেন, একেবারে সূত্রবিহীন ও মর্মান্তিক এ হত্যার ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলাটি স্পর্শকাতর হওয়ায় এ পর্যন্ত পাওয়া তথ্য যাচাই বাছাই করে দেখা হচ্ছে। তাই তদন্তের স্বার্থে এ সকল তথ্য এখনই প্রকাশ করা যাচ্ছে না।
জানতে চাইলে র্যাব-৮ ফরিদপুর ক্যাম্পের অধিনায়ক মেজর মো. আব্দুর রহমান রোববার (১০অক্টোবর) জানান, র্যাব ইতিমধ্যে চাঞ্চল্যকর ও সূত্রবিহীন এ হত্যাকান্ডের ছায়া তদন্ত শুরু করেছে। তবে এখনো এ ব্যাপারে বলার মতো সময় আসেনি।