শহর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার নাসিরাবাদ ইউনিয়নের আলেখাকান্দা গ্রামে আ. ওহাব মাতুব্বর হত্যাকান্ডের ঘটনায় মামলা দায়েরের ৭২ ঘন্টার মধ্যে এ হত্যার রহস্য উদঘ্টন করেছে পুলিশ। ১০ ডিসেম্বর মামলা দায়েরের পর তিন দিনেই রহস্য উদঘাটন ও ১৩ জানুয়ারী ঘটনার সাথে সম্পৃক্তদের আটক করে পুলিশ।
আটককৃতরা হলেন, ভাঙ্গা উপজেলার আলেখার কান্দা গ্রামের আল-আমিন কাজী, পাশের সদরপুর উপজেলার চরব্রাক্ষ্মনদি গ্রামের অভি হাওলাদার ও একই উপজেলার হাজেরিয়া হাজির কান্দী গ্রামের আব্দুর রহমান।
মঙ্গলবার সকাল ফরিদপুর পুলিশ সুপার মো. আব্দুল জলিল তার কার্যালয়ে প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের জানান, হর্তাকান্ডের শিকার আ. ওহাব মাতুব্বর প্রয়াত চিকিৎসক ডা. জামাল উদ্দিন খলিফার বাড়ীতে কেয়ারটেকার হিসেবে কর্মরত ছিলেন। ওই বাড়ীতে আর কেউ না থাকায় চুরি করার উদ্ধেশ্যে তিন চোর ওই বাড়ীতে প্রবেশ করে। এসময় ওহাব মাতুব্বরেএকজনকে চিনে ফেলায় চোরেরা তাকে হাতুড়িপেটা ও স্কুড্রাইভার দিয়ে খুচিয়ে হত্যা করে।
আসামীদের স্বিকারোক্তির অনুযায়ী পুলিশ সুপার জানান, গত ৩১ ডিসেম্বর ওই তিনজন চুরির উদ্ধেশ্যে প্রবেশের পর আল-আমিন কাজীকে চিনে ফেলায় হত্যার ঘটনা ঘটায় তারা। এর পর ০৮ জানুয়ারী রাতে পুলিশ ওই বাড়ী থেকে অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার করে। এঘটনায় ১০ জানুয়ারী রাতে নিহতের বোন নুরজাহান বেগম বাদী হয়ে ভাঙ্গা থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
১৪ জানুয়ারী আটককৃতদের আদালতে উপস্থাপন করা হয়।