অনলাইন সংস্করণ
দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন আফগান প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। নিজের কোর টিম সঙ্গে নিয়েই গিয়েছেন। আফগানিস্তান ছেড়ে ভারতে চলে এসেছেন সে দেশের বেশ কয়েক জন সাংসদ ও সরকারি আধিকারিক। গনি দেশ ছাড়তেই কাবুলে তাঁর প্রাসাদ দখল করে নিয়েছে তালিবানরা। সংবাদ সংস্থা রয়টার্সকে দুই তালিবান নেতা জানিয়েছে, আফগানিস্তানে কোনও রকম অন্তর্বর্তী সরকার গঠন হবে না। ক্ষমতার পূর্ণ হস্তান্তরই চায় তারা।
এখনও কাবুল দূতাবাস বন্ধ করেনি ভারত। সেখানে রয়েছেন ভারতীয় কূটনীতিক এবং কর্মীরা। তবে প্রয়োজন পড়লে তাঁদের দ্রুত ফিরিয়ে আনবে কেন্দ্র। সেই পরিকল্পনা প্রস্তুত রয়েছে। এদিকে আফগানিস্তানের বেশ কিছু সাংসদ নিজেদের প্রাণ বাঁচাতে চলে এলেন দিল্লিতে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেন্দ্র কখনওই নিজের নাগরিক এবং কূটনীতিকদের জীবন বিপদে ফেলবে না। তাই সে রকম কিছু বুঝলে সঙ্গে সঙ্গে তাঁদের দেশে ফিরিয়ে আনা হবে। ইতিমধ্যে আফগানিস্তানের পাঁচ শহরের কনস্যুলেট বন্ধই করে দিয়েছে দিল্লি। বিদেশ মন্ত্রকের এক অফিসার জানিয়েছেন, কেন্দ্র আফগানিস্তানে পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রাখছে। এতটুকু বিপদ বুঝলেই কূটনীতিক ও দূতাবাসের কর্মীদের দেশে ফেরানো হবে।
জানা গিয়েছে, আফগানিস্তানে ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিমান সি–১৭ গ্লোবমাস্টার প্রস্তুত হয়ে দাঁড়িয়েই রয়েছে। প্রয়োজন পড়লেই এই বিমানে চাপিয়ে কূটনীতিক, দূতাবাস কর্মী, নাগরিকদের ফেরানো হবে। গত কয়েক দিনে কান্দাহার, মাজার-ই-শরিফ, হেরাট, জালালাবাদের মতো একের পর এক শহর দখল করেছেন তালিবানরা। আফগানিস্তানের ৩৪টি প্রাদেশিক রাজধানীর ২৫টিই তালিবানদের দখলে চলে গিয়েছে। রবিবার দখল করে নিয়েছে রাজধানী কাবুল। ক্ষমতা ছেড়েছেন প্রেসিডেন্ট আশরফ গনি। জানা গিয়েছে, শান্তিপূর্ণভাবেই ক্ষমতার হস্তান্তর হয়েছে। তবে আতঙ্কে দেশবাসী।