ফরিদপুর প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের মধুখালিতে পুলিশের দায়ের করা বিস্ফোরক আইনের মামলায় বিএনপির ১৬ নেতাকর্মী ১৯দিন পর দীর্ঘ আইনে লড়াই শেষে রবিবার (৮ অক্টোবর) কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি পেয়েছেন।
জামিনে মুক্তিপ্রাপ্তরা হলেন, মধুখালী পৌর বিএনপির সভাপতি শাহাবুদ্দিন আহমেদ সতেজ, কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাবেক সহ সভাপতি জয়দেব রায়, স্বেচ্ছােেসবক দলের সভাপতি কনক হাসান মাসুদ, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক বাবলু কুমার রায়, উপজেলা যুবদলের সাবেক যুগ্ম আহবায়ক ইয়াসিন বিশ^াস, বিএনপি নেতা লিয়াকত আলী, ছাত্রদলের উপজেলা সাবেক আহবায়ক এস এম মুক্তার হোসেন, ইকবাল হোসেন (সাবেক সাধারন সম্পাদক উপজেলা শাখা ছাত্রদল), জেলা ছাত্রদলের সহ সাধারণ সম্পাদক টারজান মিয়া, কামালদিয়া ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক কামাল উদ্দিন মাস্টার, মেগচামী ইউনিয়ন বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক ডি আই মৃধা, যুবদল নেতা মাহাবুব তালুকদার, ছাত্রদল নেতা গোলাম সারাফত শরৎ, পিযুষ মিত্র, সয়েল আহমেদ, মোঃ রেদোয়ান আবেদীন ।
তারা রবিবার (৮ অক্টোবর) বিকালে ফরিদপুর জেলা কারাগার থেকে মুক্ত হয়ে বেড়েলো কারা ফটকের সামনে তাদেরকে ফুলের মালা দেিয় বরণ করেন জেলা ও উপজেলা বিএনপির নেতৃবৃন্দ। পরে তারা রাত ৮টার দিকে মধুখালীতে পৌছানোর পর তাৎক্ষানিক ভাবে উপজেলা কিএনপি, তার অংগ-ও সহযোগি সংগঠনের পক্ষ থেকে সংম্বর্ধনা দেওয়া হয়। এস সময় কারামুক্ত নেতাকর্মীদের নিয়ে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে মিছিল শেষে মেছড়দিয়া মোড়ে এক সংক্ষিপ্ত পথসভা হয়। উপজেলা বিএনপির সভাপতি রাকিব হোসেন চৌধুরি ইরানের সভাপতিত্বে সাধারণ সম্পাদক আবুল কাশেম আবুল বলেন, আমরা পুলিশের দেয়া মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় দীর্ঘ আইনি লড়াবেিয় নেতাকর্মীদের জামিনে মুক্ত করেছি। সদ্য কারামুক্ত পৌর বিএনপির সভাপতি সাহাবুদ্দিন আহম্মেদ সতেজ বলেন আমাদেরকে যতই মিথ্যা মামলা দিক না কেন, আমরা মামলা এবং কারাগারকে ভয় করিনা। আমরা জনগণের ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠিত এবং খালেদা জিয়ার মুক্তি ও তত্ত্বধায়ক সরকার ছাড়া রাজপথ ছাড়ব না।
উল্লেখ্য গত ৩১ জুলাই মধুখালী থানার উপ-পরিদর্শক অজয় বালা বাদী হয়ে একটি বিস্ফোরক মামলা দায়ের করেন। ৩১ জুলাই ভোরে ঢাকা-খুলনা মহাসড়ক অবরোধ করে উপজেলা বিএনপির নেতাকর্মীদের বিক্ষোভ কর্মসূচি থেকে পুলিশের উপর ইটপাটকেল নিক্ষেপের অভিযোগে স্থানীয় বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সহ ২৪ নেতা-কর্মীর নামোল্লেখ করে মামলাটি করা হয়। এ মামলায় আরো ৬০-৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামী করা হয়।
এ মামলায় এজাহারভুক্ত ২৪ আসামীর মধ্যে ২১ আসামী হাইকোর্ট থেকে ৬ সপ্তাহের জামিনে ছিলেন। হাইকোর্টের আদেশ অনুযায়ী তারা ৬সপ্তাহ পর (১৯ সেপ্টেম্বর) জেলা ও দায়রা জজ আদালতে হাজির হয়ে জামিনে থাকা নেতা-কর্মীরা জামিনের আবেদন করলে অসুস্থ্যতা ও বয়স বিবেচনায় ৫ জনকে জামিন দেন এবং ১৬ জনকে জেলা হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন আদালত। ওই মামলায় কারাগারে থাকা ১৬ নেতাকর্মী ১৯দিন পর জামিনে রবিার কারাগার থেকে জামিনে মুক্তি লাভ করলেন।