1. almoazzintv@gmail.com : Moniruzzaman Monnu : Moniruzzaman Monnu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ০৯:২০ অপরাহ্ন

ফের ইউক্রেনের সামুদ্রিক ড্রোন হামলা, এবার লক্ষ্য রুশ ট্যাংকার

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ৫ আগস্ট, ২০২৩
  • ২৬৩ Time View
এনবি ডেস্ক
 বিস্ফোরকপূর্ণ একটি ইউক্রেনীয় সামুদ্রিক ড্রোন একটি রাশিয়ান জ্বালানি ট্যাংকারকে আঘাত করেছে। ২৪ ঘণ্টার মধ্যে এ ধরনের দ্বিতীয় হামলাটি ক্রিমিয়ার সঙ্গে রাশিয়ার ভূখণ্ডকে যুক্তকারী একটি সেতুর কাছে রাতে হয়েছে বলে শনিবার উভয় পক্ষই জানিয়েছে।
রিমিয়াতে রাশিয়ার নিযুক্ত কর্মকর্তাদের মতে, এ হামলায় কেউ হতাহত হয়নি। তবে ক্রিমিয়ার সেতু ও ফেরি পরিবহন কয়েক ঘণ্টার জন্য স্থগিত ছিল।

মস্কো ২০১৪ সালে ইউক্রেন থেকে ক্রিমিয়াকে সংযুক্ত করে নেয়।

 

ইউক্রেনের একটি গোয়েন্দা সূত্র বার্তা সংস্থা রয়টার্সকে জানিয়েছ, ৪৫০ কেজি বিস্ফোরকসহ ড্রোনটি ইউক্রেনের আঞ্চলিক জলসীমায় রাশিয়ান সামরিক বাহিনীর জন্য জ্বালানী পরিবহনের সময় এসআইজি জাহাজে আঘাত করেছিল।

ইউক্রেনের নৌবাহিনী ও নিরাপত্তা পরিষেবার যৌথ অভিযান সম্পর্কে সূত্রটি বলেছে, “ট্যাংকারটি ভালোভাবে জ্বালানি বোঝাই ছিল, তাই ‘বিস্ফোরণ’ দূর থেকে দেখা গেছে।”

এদিকে কিয়েভ বলেছে, রাশিয়ার অভ্যন্তরে বা ইউক্রেনে রাশিয়ান নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলে রাশিয়ার সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে আক্রমণের পর তাদের পাল্টা আক্রমণের জন্য গুরুত্বপূর্ণ।

নোভোরোসিয়েস্কে রাশিয়ার নৌবাহিনীর ঘাঁটিতে আরেকটি সামুদ্রিক ড্রোন হামলা শুক্রবার একটি যুদ্ধজাহাজকে ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। সে হামলাই প্রথমবারের মতো ইউক্রেনীয় নৌবাহিনী তাদের উপকূল থেকে এত দূরে শক্তি প্রদর্শন করে।

ইউক্রেনের একটি সরকারী সংস্থা শনিবার সতর্ক করে বলেছে, রাশিয়ার ছয়টি কৃষ্ণ সাগর বন্দর—আনাপা, নভোরোসিয়েস্ক, গেলেন্ডজিক, টুয়াপসে, সোচি এবং তামান ‘যুদ্ধের ঝুঁকিপূর্ণ এলাকায়’ রয়েছে।

ইউক্রেনকে শস্য রপ্তানির অনুমতি দিতে জাতিসংঘের দালালি চুক্তি থেকে গত মাসে নিজেদের প্রত্যাহারের পর থেকে মস্কো ইউক্রেনের বন্দরগুলোতে বোমা হামলা চালিয়েছে।

সেনাদের জন্য জ্বালানী
ইউক্রেনের দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলীয় জাপোরিঝিয়ায় রাশিয়ার নিযুক্ত কর্মকর্তা ভ্লাদিমির রোগভের মতে, এসআইজি ট্যাংকারটি সিরিয়ায় রাশিয়ান সেনাদের তেল সরবরাহ করছিল।

ইউক্রেনের এসবিইউ সিকিউরিটি সার্ভিসের প্রধান ভ্যাসিল মালিউক সর্বশেষ হামলার বিষয়টি সরাসরি নিশ্চিত করেননি। তবে তিনি বলেছেন, রাশিয়ান জাহাজ বা ক্রিমিয়ান সেতুর সঙ্গে যেকোনো ঘটনা ছিল ‘শত্রুদের প্রতি একেবারে যৌক্তিক ও কার্যকর পদক্ষেপ’।

টেলিগ্রাম ম্যাসেজিং অ্যাপে মালিউক বলেছেন, ‘এ ছাড়াও এই ধরনের বিশেষ অভিযানগুলো ইউক্রেনের আঞ্চলিক জলসীমায় পরিচালিত হয় এবং এটি সম্পূর্ণ আইনি।’

রাশিয়ার নোভোরোসিস্ক মেরিটাইম রেসকিউ কোঅর্ডিনেশন সেন্টারের উদ্ধৃতি দিয়ে বার্তা সংস্থা আরআইএ জানিয়েছে, এসআইজি থেকে কোনো জ্বালানী ছিটকে পড়েনি।

কারণ জাহাজটি কেবল প্রযুক্তিগত ব্যালাস্ট বহন করছিল। কাছাকাছি দুটি টাগবোট দিয়ে উদ্ধার কাজ চলছিল।

রোগভ টেলিগ্রামে একটি অডিও ক্লিপ পোস্ট করেছেন, যেখানে এসআইজি টো করার অনুরোধ করেছে। তিনি নৌযানের ভেতরে ছিন্নভিন্ন বস্তু ও সরঞ্জাম হিসেবে বর্ণনা করা ছবিও পোস্ট করেছেন।

রাশিয়ার ফেডারেল মেরিন অ্যান্ড রিভার ট্রান্সপোর্ট এজেন্সি টেলিগ্রামে এক বিবৃতিতে বলেছে, ‘এসআইজি ট্যাংকার… স্টারবোর্ডের পাশে ওয়াটারলাইনের কাছে ইঞ্জিন রুমে একটি গর্ত পেয়েছিল, প্রাথমিকভাবে একটি সমুদ্র ড্রোন হামলার ফলে।’

ক্রিমিয়ায় মস্কো সমর্থিত কর্তৃপক্ষ বলেছে, ২০১৮ সালে রাশিয়ার সম্পূর্ণ করা সেতুটি যুদ্ধে দুইবার গুরুতর আক্রমণের মুখে পড়েছে। তবে সেতুটিকে লক্ষ্যবস্তু করা হয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category