মধুখালী (ফরিদপুর) প্রতিনিধি :
ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলার একটি পৌরসভা ও এগারটি ইউনিয়নের কৃষকরা পর্যাপ্ত পরিমান পানির অভাবে পাট পচাতে পারছেন না। ফলে পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছে পাট চাষীরা। খাল, বিল ডোবায় এ বছর পর্যাপ্ত পরিমান পানি না জমায় কোথাও হাটু পানিতে পাট জাগ দিয়ে পচানোর চেষ্টা করছে অনেকেই। এতে পাটের গুনগত মান নষ্ট হওয়ায় পাটের দাম কম পাওয়ার আশঙ্খায় বিপাকে পড়েছে কৃষক। বেশীর ভাগ চাষী এখনও পাট কাটা শুরু করেন নাই পানির অভাবে আবার অনেকে পাট কেটে রাস্তায়, শুকনা ডোবায়, খালে পানির আশায় জরো করে রেখেছেন।
পৌর সভার পাট চাষী আব্দুল হাই বাশী জানান, আমাদের উ”ু এলাকা হওয়ায় এবং এ বছর পর্যাপ্ত পরিমান ভারী বৃষ্টি না হওয়ার কারণে ডোবা, নালায় পর্যাপ্ত পানি না জমায় ঠিকমত পাট জাগ দিয়ে পচানো যাচ্ছে না। যে কারণে এখনও জমিতে পাট দাড়িয়ে আছে আবার কিছিু কিছু পাট শুকিয়ে যাওয়ার উপক্রম হয়েছে। আবার কোন কোন চাষী প্রতিযোগিতা করে হাটু পানিতে অল্প জায়গার মধ্যে বেশী পরিমান পাট জাগ দিয়ে পচানোর ফলে পাটের গুনগত মান নষ্ট হয়ে যাচ্ছে। এতে করে বাজারে কম মূল্যে পাট বিক্রি করতে হবে। তাতে চাষীদের পাট আবাদের খরচও উঠবে না।
বাগাট চানপুর এলাকার পাট চাষী আলাল বলেন, আমাদের এলাকায় বিল থাকা সত্বেও শুধুমাত্র ভারী বৃষ্টি না হওয়ায় পরিমান মত পানি জমে নাই। ফলে আমরা পাট জাগ দিয়ে পচানো নিয়ে দুচিন্তায় আছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার আলভির রাহমান বলেন, এ বছর পাটের উৎপাদন ভাল হয়েছে। বেরীবাধ এলাকায় পানি থাকার কারণে উপজেলার একটি অংশ পানি পাচ্ছে আর বেশীর ভাগ এলাকায় পানি না পাওয়ার কারণে এই সমস্যা হচ্ছে তবে এখন প্রকৃতিগত ভাবে বৃষ্টি হলে পানির সমস্যা খাকবে না। এ পর্যন্ত এ উপজেলায় পাট আবাদের মাত্র ৭% থেকে ১০% পাট কাটা হয়েছে কৃষকের। বাকী সব জমিতেই দন্ডয়মান। আর বিকল্প ভাবে পাট পচানোর জন্য তিনি পাট অধিদপ্তরের সাথে যোগাযোগ করার পরামর্শ দেন।
তিনি জানান, চলতি ২০২৩-২৪ অর্থ বছরে উপজেলায় পাট চাষের লক্ষ্যমাত্রা ছিল ৮ হাজার ৬২০ হেক্টর জমিতে। আর পাটের আবাদ হয় ৮ হাজার ৬‘শ ৮৫ হেক্টর জমিতে। এ বছর ৬৫ হেক্টর জমিতে লক্ষ্যমাত্রার বেশী আবাদ হয়েছে। গত বছর ২০২২-২৩ অর্থ বছরে এ উপজেলাতে মোট ৮ হাজার ৫৫৫ হেক্টর জমিতে পাট চাষ করা হয়। তাতে পাটের ফলন পাওয়া যায় প্রতি হেক্টরে ৯ বেল।