1. almoazzintv@gmail.com : Moniruzzaman Monnu : Moniruzzaman Monnu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
সোমবার, ০৭ জুলাই ২০২৫, ০৩:৫২ পূর্বাহ্ন

বোয়ালমারীতে পাটের জাগ হারানো নিয়ে সংঘর্ষ ঘরবাড়ি ও দোকান ভাংচুর লুটপাট, আহত ৬৫

Reporter Name
  • Update Time : শুক্রবার, ২৩ জুলাই, ২০২১
  • ৩৩০ Time View
বোয়ালমারী  (ফরিদপুর) প্রতিনিধি:
ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার পরমেশ্বদী ইউনিয়নের পরমেম্বদী গ্রামে পাটের জাগ হারানো নিয়ে সংঘর্ষে ৯টি দোকান ও ২০-২৫ টি ঘর বাড়ি ভাংচুর লুটপাটের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বোয়ালমারী ও সালথা থানার পুলিশ সংঘর্ষের খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করেন। ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশ রাবার বুলেট ও লাঠিচার্জ করেন। সংঘর্ষের স্থান ফরিদপুরের সহকারী পুলিশ সুপার মধুখালী সার্কেল সুমন কর পরিদর্শন করেছেন। বর্তমানে এলাকা শান্ত রয়েছে। সংঘর্ষে কমপক্ষে ৬৫ জন আহত হয়েছে। আহতদের মধ্যে মান্নান মাতুব্বর গ্রুপের ফিরোজ (২৫), সুমান (২৬),  মিজান (২৮),  মহাসিন (২৯) কে ফরিদপুর বিভিন্ন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বাকিদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়।
সরজমিন ঘুরে জানা যায়, ১০ – ১২ দিন আগে পরমেশ্বদী ইউপি চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আ’লীগের সদস্য নুরুল আলম মিনা মুকুল গ্রুপের মাসুদের সমর্থক নজরুল মোল্যা ও ইউনিয়ন আ’লীগের আইন বিষয়ক সম্পাদক ও থানা আ’লীগের সদস্য আ. মান্নান মাতুব্বর গ্রুপের নজরুল মোল্যা কুমারনদে পাশাপাশি পাটের জাগ দেয়। মনিরুলের পাটের জাগ হারিয়ে গেলে মনিরুল নজরুল মোল্যার বাড়িতে গিয়ে জানতে চাই তার পাটের জাগ কোথায়। এ সময় নজরুল মনিরুলকে বলে তার জাগ সে উঠিয়ে নিয়ে এসেছে, মনিরুলের জাগের খবর জানে না। এ ঘটনাকে কেন্দ্র সেখানে উভয়ের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়। সে ঘটনার জের ধরে শুক্রবার (২৩ জুলাই) সকাল ৯ টার দিকে দুই গ্রুপের লোকজন দেশীয় অস্ত্র ঢাল সড়কি, রামদা, লাঠিসোঠা নিয়ে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষের সময় পাশের সালথা থানার খারদিয়া গ্রামের লোকজন চেয়ারম্যান নুরুল আলম মিনা মুকুল গ্রুপের মাসুদের পক্ষ নিয়ে মান্নান মাতুব্বরের লোকজনের বাড়ি ঘরে হামলা চালিয়ে ভাংচুর ও লুটপাট করে। পুলিশ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রন করে। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে। মান্নান মাতুব্বরের ছোট ভাই সিদ্দিক মাতুব্বর বলেন, নুরুল আলম মিনা মুকুলের লোকজন তার নেতৃত্বে আমার গ্রুপের লোকজনের ঘরবাড়িতে হামলা চালিয়ে ব্যাপক ভাংচুর ও লুটপাট করে। এ সময় মহিলাদেরও মারধর করে তারা।
নুরুল আলম মিনা মুকুল মুঠোফোনে বলেন, আমার কোন গ্রুপ নেই। মান্নান মাতুব্বর গ্রুপ ও মাসুদ গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষ হয়েছে। আগে একবার সংঘর্ষ হয় সে সংঘর্ষের ঘটনায় আমাকে মামলায় প্রধান আসামি করা হয়। সংঘর্ষের সাথে আমার কোন সম্পৃক্ততা নেই।
বোয়ালমারী থানা অফিসার ইনচার্জ মোহাম্মদ নুরুল আলম বলেন, সংঘর্ষের খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। সংঘর্ষে লিপ্তকারীদের ছত্রভঙ্গ করার জন্য রাবার বুলেট ও লাঠি চার্জ করা হয়। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে। এ ঘটনায় এখন পর্যন্ত কেউ থানায় লিখিত অভিযোগ দেয়নি।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category