1. almoazzintv@gmail.com : Moniruzzaman Monnu : Moniruzzaman Monnu
  2. jmitsolution24@gmail.com : support :
রবিবার, ০৬ জুলাই ২০২৫, ১০:০৩ অপরাহ্ন

সাংবাদিক রঘুনন্দন সিকদারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ

Reporter Name
  • Update Time : শনিবার, ২৮ মে, ২০২২
  • ৩৩১ Time View

নিজস্ব প্রতিনিধি :

সাংবাদিক রঘুনন্দন সিকদারের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকী আজ গত ২০২০ সালের ২৮ মে রাজবাড়ী জেলার বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রেসক্লাবের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি দৈনিক ইত্তেফাক ও দৈনিক মাতৃকন্ঠের প্রতিনিধি প্রবীণ সাংবাদিক ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রঘুনন্দন শিকদার(৬৭) শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করেন। ২০২০ সালের ২৮শে মে বৃহস্পতিবার সকাল ৭টায় তিনি বালিয়াকান্দি হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ২পুত্র, ১পুত্রবধুসহ অনেক আত্মীয় স্বজন, ভক্ত ও গুণগ্রাহী রেখে যান। তিনি ২০০০ সাল থেকে বালিয়াকান্দি উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি, ২০০৭ সাল থেকে বালিয়াকান্দি মহাশ্মশান ও কেন্দ্রীয় মন্দিরের সভাপতির দায়িত্ব পালন করে আসছিলেন। পাশাপাশি মানবাধিকার কমিশন, সুজনের বালিয়াকান্দি শাখার সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি। উল্লেখ্য, মফস্বল সাংবাদিক হিসেবে রঘুনন্দন সিকদারের সাথে ছিল এলাকার জনগণের নাড়ির বাঁধন। উপজেলার নিভৃত এলাকার নির্যাতিত ও শোষিত মানুষগুলো যখন কোন অবলম্বন না পেয়ে দিশেহারা হয়ে যায় তখন এ রকম মানুষদেরই আশ্রয় হতো রঘুনন্দন সিকদারের কাছে। তিনি ধর্ম বর্ণ জাত নির্বিশেষ কাছে টেনে নিতেন, পাশে দাঁড়াতেন- দিতেন বল ভরসা। তাদের আকুতির কথা তুলে ধরতেন পত্রিকায়- জানাতেন প্রশাসনের কাছে। প্রশাসনের সংশ্লিষ্ট দপ্তরের কর্মকর্তা হয়তো একটু বিরক্ত হয়ে বলতেন, রঘু দা উনি কি আপনার আত্মীয়। রঘু দা সেই পুরোনো হা-হা হাসি হেসে বলতেন, হ্যাঁ, আমার আত্মীয়। এ রকম শত শত উদাহরণ আছে। তরুণ বয়সে রঘুনন্দন সিকদার জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ)-এর রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিলেন। এরপরই কর্মজীবনে তার আর রাজনীতিতে দেখা যায়নি। তিনি খুব অমোদমোদী মানুষ ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি সাংবাদিকতা শুরু করেন। তিনি বালিয়াকান্দিতে প্রতিষ্ঠা করেন প্রেসক্লাব। কিছু উদ্যোমী তরুণকে নিয়ে তার সাংবাদিকতা কাজ শুরু হয়। সাংবাদিকতা করতে গিয়ে তিনি নিভৃত পল্লীর মানুষের সঙ্গে মিশেছেন। পল্লীর মানুষও রঘুনন্দন সিকদারকে আপন করে নিয়েছিলো। বয়স বাড়তে থাকে তার ধর্মে-কর্মে মনোনিবেশ করেন তিনি। মানুষের সাথে মেশা ছিল তার রক্তের নেশা। এ নেশা থেকে তিনি এলাকার হিন্দু সম্প্রদায়ের উৎসবে প্রতিনিধিত্ব করতে থাকেন। দীর্ঘদিন ডায়েবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও গ্যাস্ট্রিকের সমস্যায় ভুগছিলেন। কিন্তু তার আমৃত্যু সঙ্গী এসব অসুখকে পরোয়া না করেই তিনি ছুটে যেতেন ধর্মীয় অনুষ্ঠান সফল করতে। দিনটি উপলক্ষে তার আত্মার শান্তি কামনায় বালিয়াকান্দির আমতলা বাজারের নিজ বাসভবনে ধর্মীয় কীর্তন ও কাঙ্গালি ভোজের আয়োজন করেছে তার পরিবার।

Please Share This Post in Your Social Media

More News Of This Category